কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মাঠে মাঠে দিগন্তজোড়া হলুদের সমারোহ। চোখে পড়ছে চারিদিকে সরিষা ক্ষেতে চোখ ধাঁধানো হলুদ ফুলের ছড়াছড়ি। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কাশিয়ানীতে দিন দিন বাড়ছে সরিষার আবাদ। এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
সরিষা চাষে সেচ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। ফলে উৎপাদন খরচ খুবই কম এবং দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদে ঝুঁকছে। এদিকে সরিষা চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার কাশিয়ানী উপজেলায় ১ হাজার ৫৬ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় এবার ৪৩১ হেক্টর বেশি। এসব সরিষার মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৫, টোরি-৭ ও রাই জাতের সরিষা।
রাতইল ইউনিয়নের চাপ্তা গ্রামের কৃষক ফুল মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান চাষে কোন লাভ নেই, উৎপাদন খরচই উঠে না। সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এক মণ সরিষা ১৭ শ’ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। এ কারণে আমি বোরো আবাদ বাদ দিয়ে ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি।’
কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তিলক কুমার ঘোষ বলেন, ‘কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় এ অঞ্চলে দিন দিন সরিষার আবাদ বাড়ছে। সরিষা চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।’